“আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে জাগ্রত বিষয়গুলো ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ…

“আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে জাগ্রত বিষয়গুলো ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে”।

আবূ হুরায়রা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে জাগ্রত বিষয়গুলো ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে”।

[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

الشرح

মহানবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিচ্ছেন যে, খারাপ খেয়ালের ওপর আমল করা বা তার ব্যাপারে কথা বলার আগে মুসলিমকে তার জন্য পাকড়াও করা হবে না, কারণ আল্লাহ কষ্ট উঠিয়ে নিয়েছেন এবং ক্ষমা করে দিয়েছেন। আর মনের ভেতর যা উদ্রেক হয় এবং নফসের ভেতর যা দ্বিধাগ্রস্ত থাকে তা বদ্ধমূল ও স্থির না হওয়া ছাড়া তার জন্য মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতকে পাকড়াও করা হবে না; যদি তার অন্তরে তা স্থির হয়, যেমন অহংকার অথবা দাম্ভিকতা অথবা নিফাক অথবা তার অঙ্গ দিয়ে আমল করল অথবা তার মুখে উচ্চারণ করল তখন তার জন্য তাকে জবাবদিহি করা হবে।

فوائد الحديث

আল্লাহ তা‘আলা নফসের ওপর যেসব চিন্তা ও আগেব জড়ো হয় সেগুলিকে ছাড় দিয়েছেন এবং ক্ষমা করেছেন, কাজেই মানুষ সেগুলি সম্পর্কে নিজের সাথে কথা বলবে এবং তার চিন্তাকে অতিক্রম করে যাবে।

তালাক নিয়ে যদি কোন ব্যক্তি চিন্তা করে এবং তার মনে সেটিকে পেশ করে, কিন্তু তার ব্যাপারে কথা বলল না বা তা লিখল না, তবে তা তালাক বলে গণ্য হবে না।

আত্মকথনের জন্য একজন ব্যক্তিকে জবাবদিহি করা হবে না, তা যত বড়ই হোক না কেন, যতক্ষণ না সে এটি নিজের মধ্যে স্থির করে এবং তার উপর আমল করে বা তার ব্যাপারে কথা বলে।

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের মহান কদর যে, স্ব-কথোপকথনের জন্য তাকে দায়বদ্ধ করা হয়নি, আমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের বিপরীত।

التصنيفات

তালাকের শব্দসমূহ