إعدادات العرض
হে আল্লাহর রাসূল! যদি কেউ আমার সম্পদ ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হয় তবে আমি কি করব?
হে আল্লাহর রাসূল! যদি কেউ আমার সম্পদ ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হয় তবে আমি কি করব?
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! যদি কেউ আমার সম্পদ ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হয় তবে আমি কি করব? তিনি বললেন, “তুমি তাকে তোমার সম্পদ নিতে দিবে না”। লোকটি বলল, যদি সে আমার সাথে এ নিয়ে মারামারি করে? তিনি বললেন, “তুমি তার সাথে মারামারি করবে”। লোকটি বলল, আপনি কি বলেন যদি সে আমাকে হত্যা করে? তিনি বললেন- “তা হলে তুমি শহীদ বলে গণ্য হবে”। লোকটি বলল, আপনি কি মনে করেন, যদি আমি তাকে হত্যা করি? তিনি বললেনঃ “সে জাহান্নামী”।
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी Tiếng Việt සිංහල Hausa Kurdî Magyar ქართული Kiswahili Română অসমীয়া ไทย Português मराठी دری አማርኛ ភាសាខ្មែរ ગુજરાતીالشرح
এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি কী বলেন যদি কোন লোক এসে আমার সম্পদ নিতে চায়? তিনি বললেন: তুমি তার কাছে আত্মসমর্পণ করতে এবং তাকে তোমার টাকা দিতে বাধ্য নও। সে বলল: আপনি কী লক্ষ্য করেছেন যদি সে আমার সাথে মারামারি করে? তিনি বললেন: তার সাথে মারামারি করা তোমার জন্য জায়েজ। সে বলল: যদি সে আমাকে মেরে ফেলে? তিনি বললেন: তাহলে তুমি শহীদ। সে বলল: আপনি লক্ষ্য করেছেন কী যদি আমি তাকে মেরে ফেলি? তিনি বললেন: কিয়ামতের দিন সে জাহান্নামে শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।فوائد الحديث
আন-নওয়াবী বলেন: বিনা বিতর্কে নারীদের রক্ষা করা ফরজ। আমাদের মাযহাব এবং অন্যদের মাযহাবে হত্যা করে জীবন রক্ষা করার বিষয়ে বিরোধ রয়েছে। আর সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিরোধ গড়ে তোলা জায়েজ, ওয়াজিব নয়।
হাদীসটি প্রমাণ করে যে ইলম আমলের আগে জরুরি, যেমন এই সাহাবী আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে, আমলের আগে তাকে কী করতে হবে।
আক্রমণকারীর সাথে মারামারি শুরু করার আগে উপদেশ বা সাহায্যের ডাক দিয়ে তাকে প্রতিরোধ করার ক্রম অনুসরণ করা উচিত, যদি সে তার সাথে লড়াই শুরু করে, তাহলে তার কাজ হল তাকে হত্যা করার পরিবর্তে তাড়িয়ে দেওয়া।
একজন মুসলিমের রক্ত, অর্থ এবং সম্মান হারাম-পবিত্র।
আন-নওয়াবী বলেন: জেনে রাখুন যে শহীদ তিন প্রকার:
তাদের মধ্যে একজন হলেন সেই ব্যক্তি যিনি কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হত্যার উপায়সমূহের কোনো উপায়ে নিহত হয়েছেন। এর জন্য শহীদদের হুকুম হবে আখেরাতের সাওয়াব এবং দুনিয়ার বিধানের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ তাকে গোসল দেওয়া হবে না এবং তার জানাজার সালাত পড়া হবে না।
দ্বিতীয়জন হলেন সওয়াবের দিক থেকে শহীদ, কিন্তু পার্থিব বিধানের দিক থেকে নয়। সে হলো সেই ব্যক্তি যে পেটের রোগে মারা যায়, যে ছুরিকাঘাতে মারা যায়, যে ধসে পড়া ভবনের আঘাতে পিষ্ট হয়, যে তার সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয় এবং অন্য যাদেরকে সহীহ হাদীসে শহীদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একে গোসল দেওয়া হবে, তার জানাজা পড়া হবে এবং আখেরাতে সে শহীদদের সওয়াব পাবে। এটা জরুরী নয় যে তার জন্য প্রথমের সওয়াবের মতোই হবে। তৃতীয় ব্যক্তি হলেন সেই ব্যক্তি যিনি যুদ্ধের গনীমত ইত্যাদিতে খিয়ানত করেছেন, হাদীসে কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিহত হলে যাকে শহীদ ঘোষণা করা অস্বীকার করা হয়েছে। এই পৃথিবীতে শহীদদের মতোই তারও হুকুম, তাকে গোসল দেওয়া হবে না, তার জানাজা পড়ানো হবে না এবং পরকালে তাদের পূর্ণ প্রতিদানও সে প্রাপ্ত হবে না।